Ticker

6/recent/ticker-posts

adsterra

শুধুমাত্র এক চিমটে হলুদ তাতেই বয়স থাকবে হাতের মুঠোয়, ত্বক হবে ঝকেঝকে!




নিয়মিত আপডেট পেতে  ফেসবুক পেজে টি ফলো করুন

 Facebook Page link


মানুষের রূপচর্চার ইতিহাস সভ্যতার প্রথম উম্মেষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। খৃষ্টপূর্ব ১০ হাজার বছর পূর্বে মেসোলিথিক যুগে গুহাবাসী মানুষদের ভিতর রূপচর্চার প্রচলন ছিল বলে ধারণা করা হয়। আজ পর্যন্ত নিজেকে আরেকটু সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলার প্রচেষ্টা থেমে নেই  সেই থেকে আজো। বরং সভ্যতার বিবর্তনে বর্তমান বিশ্বে এর প্রচেষ্টায় প্রতিযোগীতা,প্রতিদ্বন্দী বেড়েছে অনেক ।


Youtube channel
My Life My Story 365

যুগের বিবর্তনে ফলে সভ্যতায় পরিবর্তন আসলেও রূপচর্চার জন্য প্রাকৃতিক বস্তুর মাধ্যমে রূপচর্চায় পরিবর্তন আসেনি এখনো। এই রকম একটি প্রাকৃতিক জিনিস হল হলুদ। ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করতে এশিয়া মহাদেশের অনেক দেশে বিয়ের আগে গায়ে হলুদ মাখার অনুষ্টান করা হয় যার নাম “গায়ে হলুদ”। ত্বককে উজ্জ্বল ও ফর্সা করার জন্য হলুদ শুধু মুখে নয় পুরু শরীরে এর ব্যবহার করা হয়।  
ঠিক তেমনই তরি-তরকারিতে হলুদ দেওয়াটা আমাদের অভ্যাস। হলুদ ছাড়া মাছের ঝোল রান্না করা কঠিন। আবার ঠিক তেমনই ডালেও হলুদ না দিলে নয়। এই অভ্যাস যে স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা উপকারী, সেটাই অজানা। আবার স্নানের আগে সামান্য একটু কাঁচা হলুদবাটা গায়ে ঘষে নিলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়বেই।



মহারাষ্ট্র, গোয়ার দিকে খাবারে হলুদ পাতা ব্যবহার করা হয়। বেশ সুন্দর একটা অন্য রকমের গন্ধ আসে। সংরক্ষণের জন্যও হলুদ ব্যবহার করা হয়। পনীরে হলুদ মাখিয়ে রাখলে অনেক দিন ভাল থাকে। কীটনাশক হিসাবে হলুদ কাজে দেয় বলে বাড়ির দরজায় বা কোণে ফেলে রাখেন অনেকে।

Click here



গ্লিসারিনের সঙ্গে  হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগান


হলুদ শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখতে পারেন। কোনও ময়শ্চারাইজ়ার বা গ্লিসারিনের সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এতে অনেক উপকার পাবেন। ত্বকের মৃতকোষ তুলে ত্বক খুব ভাল এক্সফোলিয়েট করে হলুদ। কাঁচা হলুদের রস ৫ ফোঁটা থেকে শুরু করে বয়স অনুপাতে এক চাচামচ পর্যন্ত চিনি বা মধু মিশিয়ে খেলে লিভারের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। কফ জমে থাকলে, গলা ফোলা বা গলা জ্বালায় গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে দেখুন। উপকার পাবেনই।  

ত্বকে ব্রণ বা তার দাগ সারায়


হলুদের জুড়ি মেলা ভার ত্বকের যে কোনও দাগ-ছোপ দূর করতে ।  হলুদ  আবার অ্যান্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে । তবে কাঁচা হলুদ ত্বকে সরাসরি না লাগানোই ভাল। কারণ অনেকের ক্ষেত্রে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে। বরং হলুদের সঙ্গে দুধের সর বাটা, দই বা মূলতানি মাটি, ময়দা বা যে কোনও ফলের রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে সবথেকে বেশি উপকার পায়াযায়।তবে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি প্রপার্টি থাকায় হলুদ রূপচর্চায় অব্যর্থ।  অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি হওয়ায় ত্বকের ক্ষত সারায় হলুদ । এর অ্যান্টিসেপটিক কোয়ালিটি ত্বকে ব্রণ বা তার দাগ সারায় তাড়াতাড়ি। ব্রণ কমাতে পাতিলেবুর রস, শসার রসের সঙ্গে হলুদ বাটা মিশিয়ে ব্রণর উপরে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে ব্রণ শুকিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। আবার ব্রণ সারার পরে তার দাগ তুলতে এই প্যাকের সঙ্গে নারকেল তেল বা তিল তেল মিশিয়ে নিন।

Click here



ফাইন লাইনস বা বলিরেখা দূর


হলুদ কাজ করে অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবেও । এমনকি  হলুদের ব্যবহার  ডার্ক স্পট, ফাইন লাইনস বা বলিরেখা দূর করতে পারে । চোখের তলায় বা চারপাশে কালি পড়লে রোজ ঘুমোতে যাওয়ার আগে চোখের চারপাশে হলুদ বেটে সেই রস লাগিয়ে শুতে যান। ঘুম থেকে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের পরিচর্যায় শুধু হলুদ মাখলেই চলবে না। উজ্জ্বল ত্বক ও সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত হলুদ খাওয়াও জরুরি। টারমারিক টি-ও শরীরের জন্য খুব ভাল। ৪ কাপ জলে ১ চা চামচ কাঁচা হলুদ দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এর মধ্যে অল্প পাতিলেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। টারমারিক টি-ও বেশ উপকারী।


সানবার্ন থকে রক্ষা


একেবারেই ভাল নয় কড়া রোদ ত্বকের জন্য। এর থেকেই  নানা সমস্যা দেখা দিতে পারেসানবার্ন, পিগমেন্টেশনের মতো  । রোদের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। তাই নিয়মিত হলুদ মাখতে পারেন  রোজ রোদে বেরোতে হলে। তার জন্য বেসনের সঙ্গে দুধ ও কাঁচা হলুদ বাটা মিশিয়ে মুখে ভাল করে লাগিয়ে নিন।অনেকেই গোড়ালি ফাটার সমস্যায় ভোগেন। নারকেল তেলের সঙ্গে হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে গোড়ালিতে লাগালে চামড়া নরম হবে।


পোড়া দাগ দূর করে

রান্না করতে করতে হামেশাই তেল ছিটকে বা ঝোল চলকে পড়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অল্প একটু দুধ কিংবা ঠান্ডা দইয়ে সামান্য হলুদ মিশিয়ে পোড়া জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। তার পর সেটা শুকিয়ে গেলে আলতো ভাবে ধুয়ে ফেলুন। এ ভাবে সপ্তাহ দু’য়েক হলুদ লাগাতে থাকলে পোড়া দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে। 

Click here 



হলুদ দিয়ে ফেস মাস্ক


হলুদ দিয়ে ফেস মাস্কও বানাতে পারেন। এর জন্য দুধ, গোলাপজল, মধু ও হলুদ বাটা দিয়ে একটা প্যাক বানান। এটি স্নান করার আগে মিনিট কুড়ি মুখে মেখে অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। ত্বকের মৃতকোষ তুলে ত্বক খুব ভাল এক্সফোলিয়েট করে হলুদ। তাই হলুদ বাটার সঙ্গে অল্প গোলাপজল ও বেসন মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। মিনিট কুড়ি পরে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে সার্কুলার মোশনে ঘষে তুলে নিন। ফেশিয়াল হেয়ার বা আন্ডারআর্মসের হেয়ার গ্রোথ কমাতেও অনেকেই টারমারিক অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। এই তেলের বিকল্প হিসেবে হলুদ দিয়ে প্যাকও বানিয়ে নিতে পারেন। তার জন্য ১/৪ কাপ দুধ, আধ কাপ ময়দা, ২ টেবিল চামচ হলুদ বাটা ও ১ টেবিল চামচ সি সল্ট মিশিয়ে নিন। এ বার মুখের যেখানে রোমের রেখা, সেখানে এই প্যাক লাগিয়ে রাখুন। প্যাক শোকানোর জন্য মিনিট কুড়ি অপেক্ষা করুন। ঈষদুষ্ণ জলে আস্তে আস্তে ঘষে প্যাক তুলে ফেলুন। এতে ফেশিয়াল হেয়ারের গ্রোথ কমে যায়।

চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পেও হলুদ লাগাতে পারেন নিয়মিত


শুধু ত্বকে ব্যবহার না করে চুলে ও মাথার স্ক্যাল্পেও হলুদ লাগাতে পারেন নিয়মিত। হলুদে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ থাকায় মাথার স্ক্যাল্পের খসখসে ভাব, চুলকানি কমিয়ে স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। ফলে চুলের গ্রোথও ভাল হয়। তবে চুলে ব্যবহার করার জন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে হলুদ বাটার রস। নারকেল বা অলিভ অয়েলের মধ্যে অল্প হলুদ বাটার রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। মিনিট পনেরো পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রাতে ঘুমনোর আগে হলুদ দেওয়া দুধ খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। জীবনীশক্তি বাড়ানোর জন্য হলুদ চা খাওয়া যায়। চার কাপ জলে এক চা চামচ হলুদ দিয়ে মিনিট দশেক ফোটান। এবার মধু মিশিয়ে চুমুক দিন কাপে।



#turmericbenefits#20benefitsofturmeric#turmricbenefitsforskin


ঘরোয়া উপায় ব্রণ-মেছতার দাগ দূর করার সহজ উপায়